জ্যামাইকার বিপক্ষে ঠিক জমছিল না আর্জেন্টিনার ম্যাচ। লিওনেল মেসি নামতেই যেন বদলে গেলো ম্যাচের চেহারা। শেষ দিকে ঝলক দেখালেন তিন মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করে। তাতে ৩-০ গোলে জিতে যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষ করলো আর্জেন্টিনা।
আগের ম্যাচে হন্ডুরাসকে ৩-০ গোলে হারাতে জোড়া গোল করেছিলেন মেসি। একই সাফল্য পেলেন জ্যামাইকার বিপক্ষেও। অবশ্য তিনি ছিলেন না শুরুর একাদশে।
ম্যাচের শুরুর দিকে গোল করা আর্জেন্টিনা ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিল না অনেক সময় ধরে। প্রতিপক্ষের রক্ষণ দুর্গ হয়ে দাঁড়ায তাদের সামনে। এরপর মেসি নেমেই তা ভেঙে দেন, উল্লাসে ভাসান নিউ জার্সির দর্শকদের।
চমৎকার দলগত প্রচেষ্টায় ১৩ মিনিটে গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। নিকোলাস তাগলিয়াফিকো বক্সের ভেতরে বল পাঠান লাউতারো মার্তিনেজের কাছে। গোলপোস্টের বেশ কাছে থাকলেও প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের চ্যালেঞ্জের মুখে শট নিতে পারেননি তিনি। কয়েকজনকে কাটিয়ে গোলমুখের সামনে বল বাড়ান মার্তিনেজ। সুযোগ বুঝে লক্ষ্যভেদ করেন জুলিয়ান আলভারেজ।
বিরতির আগে বাকি সময়ে জ্যামাইকার বক্সে সক্রিয় থাকলেও জালের দেখা পায়নি আর্জেন্টিনা। ১৯ মিনিটে ল চেলসো ও ২৯ মিনিটে তাগলিয়াফিকোর শট প্রতিপক্ষের রক্ষণে লেগে ফিরে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫ মিনিটে লাউতারোর বদলি হয়ে মাঠে নামেন মেসি। তার কাছ থেকে গোলের প্রত্যাশা করা হাজার হাজার দর্শককে হতাশ হতে হয়নি। শেষ দিকে ঝলক দেখান সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী।
৮৬ মিনিটে ল চেলসোর বাড়ানো বল পেয়েই বক্সের দিকে ছুটতে থাকেন মেসি। প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের ভিড়ে বক্সে ঢোকার চেষ্টা করেননি। ছোট ডি বক্সের প্রান্ত থেকে বাঁ পায়ের শটে জাল কাঁপান। তিন মিনিট পর ছোট ডি বক্সে ফাউলের শিকার হয়ে ফ্রি কিক আদায় করেন মেসি। বাঁ পায়ের নিচু শট গোলপোস্টের কোনা দিয়ে জাল কাঁপায়। এই বছর ৬ ম্যাচ খেলে ১০ গোল করেছেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।
ইনজুরি টাইমে মেসির একটি শট গোলপোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। তার বানানো বলে একই ব্যর্থতায় ব্যবধান বাড়াতে পারেননি ল চেলসো।