নিত্যপণ্যের দাম সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে রাখতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সংস্থাটি ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে নিম্নআয়ের এক কোটি পবিবারের মাঝে প্রতি মাসে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপণ্য বিক্রি করছে। পাশাপাশি বাজার মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্তকর্তা জানান, টিসিবির মাধ্যমে নিম্নআয়ের পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি, ভোক্তার স্বার্থ ও অধিকার নিশ্চিত করতে দেশের সব জেলা থেকে বাজার পরিস্থিতি বিষয়ক প্রতিবেদন সংগ্রহ ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে শতাধিক মনিটরিং অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এই মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এসব অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানের মাধ্যমে অসাধু ব্যবসায়ীদের জরিমানাও করা হয়েছে। আগামীতে অভিযান আরও জোরদার করা হবে।
এদিকে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানি বাজার বাড়ানো ও রপ্তানিপণ্য বহুমুখীকরণই প্রধান সমস্যা বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থার ভঙ্গুরতা, আমদানিকৃত পণ্যমূল্য বৃদ্ধি ও বিশ্বায়নের ফলে পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে খাপ খাওয়ানো একটা বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সঙ্গে ‘এপিএ’ চুক্তিতে এ তথ্য তুলে ধরেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
সূত্র জানায়, রপ্তানি বাজার বাড়ানো এবং রপ্তানিপণ্য বহুমুখীকরণে সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর দুর্বলতা রয়েছে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য কৌশলগুলোর মধ্যে এলডিসি সার্ভিস ওয়েভার ও ট্রিপস এক্সেম্পশনকে ব্যবহার করে ওষুধ খাতকে শক্তিশালী করা ও সেবা খাতে রপ্তানি বাড়ানো এবং টিপিএস-ওআইসি-এর রুল্স অব অরিজিন বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন মনে করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।