বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৪৯ ঘণ্টা পর ১০ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা হয়েছে। নিহতের ভাই মইনুল হক বাদী হয়ে মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নগরের বিমানবন্দর থানায় এ মামলা করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এয়ারপোর্ট থানার ওসি খান মোহাম্মদ মাঈনুল জাকির।
রোববার (৬ নভেম্বর) রাত ৯ টার দিকে সিলেট নগরের আম্বরখানা বড়বাজার এলাকায় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে খুন হন জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল। ব্যবসায়িক বিরোধে কামাল খুন হতে পারেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে সন্দেহ করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল সিলেট বিমানবন্দর এলাকা থেকে আম্বরখানা বড়বাজার হয়ে গোয়াইটুলার দিকে যাচ্ছিলেন। তার গাড়িকে অনুসরণ করছিল দুটি মোটরসাইকেল। বড়বাজার ১১৮ নম্বর বাসার সামনে কামালের গাড়ির গতিরোধ করে বাইক আরোহীরা। পরে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
স্থানীয়রা কামালকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই কামাল মারা যান জানিয়ে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান শামছুল ইসলাম বলেন, কামালের দেহে ২৫টি ছুরিকাঘাত করা হয়। তার বাম হাতে ১৬টি, বাম বগলের নিচে ২টি, বুকের বামপাশে ১টি ও বাম পায়ে ৬টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
মহানগর পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, আ ফ ম কামাল খুনের ঘটনায় সরাসরি অংশ নেয় ৫ জন। এর মধ্যে আজিজুর রহমান সম্রাট, শাকিল ও রাজু নামের ৩ জনকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে এই সূত্র। এদের মধ্যে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত বলে জানা গেছে।
মামলা দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, মামলায় আসামি হিসেবে আজিজুর রহমান সম্রাটসহ ১০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।