আহমেদ সুহেল : অবাঙালী হয়েও বাঙালী কমিউনিটির উন্নয়নে দীর্ঘ বিশ বছর নানাভাবে কাজ করা ভিভিয়েন্নি পেনিংটন নামের এক বৃটিশ নারীকে সংবর্ধনা দিয়েছে বার্মিংহামের টিপটনের বাংলাদেশ উমেন এসোসিয়েশন। সান্ডওয়েল কাউন্সিলের বিভিন্ন কাউন্সিলরসহ উচ্চপদস্থ নানা কর্মকর্তা,সান্ডওয়েলের সাবেক ক‘জন মেয়র ও স্থানীয় বাঙালী কমিউনিটির নানাজনের উপস্থিতিতে বুধবার টিপটন মুসলীম সেন্টারে এই সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বিশ বছর পুর্ব থেকে চলতি বছর পর্যন্ত সান্ডওয়েল ও পার্শ্ববতী বিভিন্ন এলাকার বাঙালী বিশেষ করে ইংরেজী না জানা নতুন আসা বাঙালী মহিলাদের ভাষা শিক্ষা প্রদান থেকে শুরু করে ক্যারিয়ার গঠনে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ আর কাউন্সিল টেক্্রট,বেনিফিটসহ অফিসিয়িাল নানা কাজে ভিভিয়েন্নি পেনিংটন নিঃস্বার্থে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। সে কারণে ভিভিয়েন্নি পেনিংটনের অবসর যাওয়াকে স্মরণীয় করে রাখতে কমিউনিটির দায়বদ্ধতা থেকে ভিন্নধর্মী আয়োজনে বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে এই সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা। আর সংবর্ধনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে ভিভিয়েন্নি পেনিংটনকে বাঙালীদের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে আখ্যা দেন বাংলাদেশ উমেন এসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী ও সান্ডওয়েল কাউন্সিলের সাবেক ডেপুটি লীডার কাউন্সিলর সাইয়েদা আমিনা খাতুন এমবিই। তিনি বলেন, অবসরে চলে গেলেও ভিভিয়েন্নি পেনিংটন সুযোগ পেলেই বাঙালীদের জন্য কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।
অনুষ্টানে যোগ দিয়ে বাংলাদেশ রিজেনারেশন কাউন্সিল ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের প্রধান এনাম চৌধুরী বাঙালীর জন্য ভিভিয়েন্নি পেনিংটনের নানা অবদানের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন ভিভিয়েন্নি পেনিংটনের প্রতিটি কর্মকান্ডই কমিউনিটির মানুষ আ-জীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ রাখবে।
বাঙালীদের প্রতি বিশেষ মমত্ববোধ থেকে কিয়দংশ বাংলা বলে ভিভিয়েন্নি পেনিংটন তাঁেক বাঙালীদের পক্ষ থেকে এই সম্মাননা দেওয়ায় বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানান।বাঙালীদের উদ্যোগে একজন অবাঙালী বৃটিশ নারীকে দেওয়া বিশেষ ঐ সংবর্ধনায় বাংলাদেশ ও ব্রিটেনের পারস্পারিক সম্পর্ক এবং সংবর্ধিত ভিভিয়েন্নি পেনিংটনের বাঙালীদের সাথে কাজ করার বিভিন্ন তথ্যচিত্র সম্বলিত একটি প্রামাণ্য চিত্রও প্রদর্শন করা হয়। এসময় আগত সকলেই ভিভিয়েন্নি পেনিংটনের নানা কার্যক্রমের বিষয়টি উল্লেখ করে তা বাঙালী অধ্যুষিত অন্যান্য স্থানের অবাঙালীদের জন্য অনুকরণীয় হতে পারে বলেও মত প্রকাশ করেন।
সংবর্ধনায় কমিউনিটির বিভিন্ন প্রতিষ্টান ও ব্যক্তিগতভাবে ভিভিয়েন্নি পেনিংটনের হাতে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা ছাড়াও ছিলো বিশেষ কেক কাটা ও মধ্যহ্ন ভোজের আয়োজন।