মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান:
সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেছেন, কারো অবহেলার কারণে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি বলেন, হাওরের প্রাকৃতিক, জীববৈচিত্র ও সৎস্য সম্পাদক রক্ষা করেই হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ করতে হবে।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় বিভাগীয় কমিশনার এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিভাগীয় কমিশনার আরো বলেন, গত বছরের অভিজ্ঞতার আলোকে আমাদের কাজ করতে হবে। কোন অবস্থাতেই সরকারি অর্থের অপচয় করা যাবে না। এসময় হাওরের প্রকৃত তথ্য তুলে ধরার জন্য সাংবাদিকে প্রতি আহŸান জানান বিভাগীয় কশিশনার।
সভায় অরো বক্তব্য রাখেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শহীদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ, সুনামগঞ্জ স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আশরাফুল ইসলাম প্রাং, বীর মুক্তি যোদ্ধা আলী আমজাদ, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আবু সুফিয়ান, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী-২ শামছুদ্দোহা, সুনামগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি লতিফুর রহমান রাজু, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী প্রমুখ।
সভায় জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ^জিৎ দেব, বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাদি উর রহমান জাদিদ, মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান, সহকারি কমিশনার (ভূমি) দিরাই, পানি উন্নয়ন বোর্ডের সেকশন অফিসার মোনায়েম হোসেন নিজ নিজ উপজেলার বিভিন্ন তথ্য উপস্থিাপন করেন। সভার শুরুতে সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-১ মামুন হাওলাদার প্রজেক্টরের মাধ্যমে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন।
এদিকে, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি ও হাওর এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত, নদী ও খাল পুন: খননের জন্য স্কীম প্রস্তুত ও বাস্তবায়ন কাজের পর্যবেক্ষণ বিষয়ক জেলা পর্যায়ে বিশেষ কমিটির সদস্য শাহজাহান চৌধুরী জেলার দিরাই উপজেলার
দিরাই উপজেলার চাপতির হাওরের চাতল কম্পার্টমেন্টাল বাঁধ অনুমোদন দেয়ার প্রস্তাব করলে তা অনুমোদন দেয়া হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আলী আমজাদ জেলার ধর্মপাশা উপজেলার চন্দ্র সোনার থাল হাওরের রাজাপুর থেকে দৌলতপুর পর্যন্ত কম্পার্টমেন্টাল বাঁধ এবং জামালগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ^জিৎ দেব উপজেলার পাকনার হাওরের লম্বাবাক কম্পার্টমেন্টাল বাঁধের প্রস্তাব করলে এদুটি বাঁধও অনুমোদন দেয় জেলা কমিটি।
প্রসঙ্গত, জেলা ১২টি উপজেলার ৯৫টি হাওরের মধ্যে ৪৮টি হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এবার জেলায় ১০৮৪টি বাঁধের প্রস্তাব করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। গতকাল পর্যন্ত ৫৮৩টি বাঁধের অনুমোদন দিয়েছে জেলা কমিটি।