কুলাউড়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে ও এনজিও সংস্থা হীড বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় ‘এখনই কাজ শুরু করি, কুষ্টরোগ নিমূল করি, এই প্রতিপাদ্য বিষয় কে সামনে রেখে কুষ্টরোগ সনাক্তকরন ও চিকিৎসা প্রতিরোধে বিশ^কোষ্ট দিবস ২০২৩ পালন করা হয়।
কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে ২৯ জানুয়ারি রোববার সকাল সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের হল রুমে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ ফেরদৌস আক্তারের সভাপতিত্বে ও আরএমও ডা: জাকির হোসেন এর পরিচালনায় আলোচনা সভায় কুষ্টরোগ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন কুলাউড়া হাসপাতালের এমওডিসি ডাঃ মইনুল ইসলাম,কুলাউড়া প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক মোঃ খালেদ পারভেজ বখশ, কুলাউড়া স্যানেটারি ইন্সপেক্টর জসিম উদ্দিন আহমদ, হাসপাতালের পরিসংখ্যান তফজ্জুল হোসেন,স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ মোঃ আব্দুল আউয়াল, স্বাস্থ্য পরিদর্শক মোঃ আব্দুল আহাদ চৌধুরী,
সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও টিএলসিএ ভারপ্রাপ্ত মোঃ হাবিবুর রহমান চৌধুরী সেলিম। সিনিয়র নার্স শিল্পী রানী দেব, এনজিও সংস্হা হীড বাংলাদেশের উপজেলা কমিউনিটি ফ্যাসিলেটর শেফালী রানী রায়, টিসিএ রত্না বালা দেবী ও নিজাম উদ্দীন প্রমুখ ।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ ফেরদৌস আক্তার বলেন, মাইকোব্যাক্টেরিয়াম লেপ্রি নামক ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণে কুষ্ঠ রোগ হয়, কুষ্ঠ রোগ সাধারনত ত্বক, চোখ, নাকের মিউকাস মেমব্রেন, মস্তিষ্ক, মেরুদন্ডের বাইরের দিকের স্নায়ু এবং অন্ডকোষের ক্ষতি করে, বিশেষ করে নিঃশ্বাসের সাথে এ রোগ ছড়াতে পারে। আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ এবং দীর্ঘ সময় ধরে মেলামেশার ফলে কুষ্ঠ রোগ হতে পারে যে কোন বয়সেই কুষ্ঠ রোগ হতে পারে ।
তিনি আরোও বলেন,সাধারনভাবে ৫ থেকে ১৫ বছর বয়সী অথবা ৩০ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এই রোগ বেশি দেখা যায়। ত্বকে লালচে দাগ অথবা মসৃণ সাদাটে দাগ দেখা যায়, ত্বকের যেসব স্থান সংক্রমিত হয় সেসব জায়গায় পিন্ড দেখা যায় বা ফুলে যায়, স্পর্শ, ব্যথা এবং তাপমাত্রার অনুভূতি হ্রাস পা রোগ নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আক্রান্ত স্থানের ত্বকের টিস্যু পরীক্ষা এবং রক্তের পরীক্ষা করতে হতে পারে।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন স্থানের নারী-পুরুষ কুষ্ট রোগীর সঠিক চিৎকিসা ও নতুন রোগি খুজে বের করে কুষ্ঠ রোগ সনাক্ত ও চিকিৎসা দেবার ব্যবস্থা করা এবং ২০৩০ সালের ভিতর কুলাউড়াকে কোষ্টরোগ মুক্ত এলাকা ঘোষনা করা । আলোচনা সভার আগে এক র্যালী অনুষ্ঠিত হয় ।