রোমস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস কর্তৃক ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ উদযাপন

প্রকাশিত: ৩:১৯ অপরাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০২৩ | আপডেট: ৩:১৯:অপরাহ্ণ, মার্চ ৮, ২০২৩

মিনহাজ হোসেন ইতালি প্রতিনিধি: ইতালিতে বাংলাদেশ দূতাবাস যথাযোগ্য মর্যাদা ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ ‘ঐতিহাসিক ০৭ মার্চ’ উদযাপন করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ০৭ মার্চ ১৯৭১-এ প্রদত্ত ঐতিহাসিক ভাষণ স্মরণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে ছিল রাষ্ট্রদূত জনাব মোঃ শামীম আহসান এর নেতৃত্বে এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারিগণের উপস্থিতিতে সকাল ১০.০০টায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, জাতির পিতা ও সমস্ত বীর শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ প্রদর্শন এবং সকলের অংশ গ্রহণে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

 

ঐতিহাসিক এই দিনের প্রেক্ষাপট ও তাৎপর্য তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান তাঁর বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহিদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ০৭ মার্চ এর ভাষণ সম্পর্কে তিনি বলেন, এই ভাষণ শুধুমাত্র বাঙালি জাতিকেই স্বাধীনতা অর্জনে অনুপ্রাণিত করেনি, সারা বিশ্বের নিপীড়িত-নির্যাতিত স্বাধীনতাকামী মানুষকে সর্বদা অনুপ্রেরণা জুগিয়ে যাবে। বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ভাষণ হিসেবে স্বীকৃত ৭ই মার্চের ভাষণটির অন্তর্নিহিত তাৎপর্য অনুধাবন করেই ইউনেস্কো ২০১৭ সালে এ ভাষণকে ‘বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য’ (World Documentary Heritage) হিসেবে ‘মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টার’(Memory of the World International Register)-এ অন্তর্ভুক্ত করেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারাও আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

 

 

অনুষ্ঠান শেষে সমস্ত শহিদদের আত্মার মাগফেরাত ও বাংলাদেশের অব্যাহত সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। অনুষ্ঠানে দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।