সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান :
পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বলেছেন, সুনামগঞ্জের ১৯টি নদ-নদী খননে প্রকল্প গ্রহন করা হয়েছে। আগামী বর্ষার আগে (আগামী বছর) খনন কাজ করা হবে। নদী খনন প্রকল্প এখন বিশেষজ্ঞ সমীক্ষা চলছে। তিনি বলেন, নদীগুলো খনন করা হলে, বাধ নিয়ে এতো কথা হবে না।
বুধবার (১৫ মার্চ) দুপরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বরাম হাওরের তুফানখালি ও চাপতির হাওরের বৈশাখীর বাঁধ পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, স্থায়ী বাঁধ বা নদী খননের প্রকল্প খুব ব্যয় বহুল প্রকল্প। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে অনেক সময় লাগে। বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করার আগে বিশেষজ্ঞ সসমীক্ষার প্রয়োজন হয়। হাওরের টেকসই কাজে তড়িঘড়ি করা যাবে না।
প্রতিমন্ত্রী চাপতির হাওরের বৈশাখীর বাঁধ পরিদর্শনে গেলে চাপতির হাওর উন্নয়ন কমিটির সভাপতি লুৎফুর রহমান চৌধুরী কাজুয়া নদী খননের দাবি জানান। এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, গেল তিন বছর ধরে বৈশ্বিক মন্দা চলছে। বাংলাদেশ মন্দার বাইরে নয়। মন্দার মধ্যেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রকল্প অনুমোদন দিচ্ছেন। হাওরের কাজ থেমে নেই চলতেছে। এজন্য একটু ধৈর্য ধরতে হবে। আগামীতে হাওরের উন্নয়নের জন্য ভালো প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।
এসময় সিলেট ও সুনামগঞ্জ সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট শামীমা শাহরিয়ার,পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মল্লিক সাঈদ মাহবুব, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক এস এম শহীদুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী,পূর্বাঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী, সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী-১ মামুন হাওলাদার, নির্বাহী প্রকৌশলী-২ মো. শামসুদ্দোহা, সুনামগঞ্জ জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ইউনিটের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আবু সুফিয়ান, দিরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহমুদুর রহমান মামুন, দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায়, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী, দিরাই প্রেসক্লাবের সাবেক আহŸায়ক সোয়েব হাসান প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর ১ হাজার ৭২ টি পিআইসর মাধ্যমে ৪৩ টি হাওরে ৭৪৫ কিলোমিটার ডুবন্ত ফসল রক্ষা বাধ নির্মাণ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। যার ব্যায় ধরা হয়েছে ২০৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে একশত কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার।