সুনামগঞ্জ ব্যুরো প্রধান :
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার বিবিয়ানা কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস ও তার সহোদর রঙ্গলাল দাসকে পর্নোগ্রাফী মামলায় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সুনামগঞ্জের চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে আদালতের বিচারক আব্দুর রহিম জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। সুনামগঞ্জের কোর্ট ইনস্পেক্টর বদরুল আলম তালুকদার অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস ও তার সহোদর রঙ্গলাল দাসকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বিবরণে জানাযায়, জেলার দিরাই উপজেলার সাবেক এক নারী ইউপি সদস্যের সঙ্গে বিবিয়ানা কলেজের অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাসের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস ওই নারীর সঙ্গে সিলেট শিববাড়ী মন্দিরে গিয়ে পুরোহিতের মাধ্যমে বিয়ে হয়। এক পর্যায়ে বিয়ের পর ওই নারীর কিছু নগ্ন ছবি তুলে রাখেন নৃপেন্দ্র। বিয়ের কিছুদন পর ওই নারী অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাসের সংসারে তাকে তুলে নিতে চাপ দিতে থাকলে দু’জনের মধ্যে বিরোধ বাধে।
এক পর্যায়ে নৃপেন্দ্র ওই নারীকে তার সংসারে তুলে নিতে অস্বীকার করেন এবং হুমকি ধামকি দিতে থাকেন। নৃপেন্দ্রের সঙ্গে ওই নারীর বিরোধ বাধলে অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস তার নামের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওই নারীর নগ্ন ছবি ছেড়ে দেন। একই সঙ্গে ওই নারীর ছবির সঙ্গে এডিট করে অন্য এক পুরুষের ছবির সঙ্গে যুক্ত করে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেন অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাসের ভাই রঙ্গলাল দাস।
এ ঘটনায় গত বছরের ১৫ অক্টোবর সুনামগঞ্জ আদালতে অধ্যক্ষ নৃপেন্দ্র চন্দ্র দাস ও রঙ্গলাল দাসের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন ওই নারী।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সুনামগঞ্জ চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হলে আদালতের বিচারক আব্দুর রহিম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে পুলিশ তাদের কারাগারে পাঠায়।