সৌদি আরবের দক্ষিণাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশির সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। একইসঙ্গে আহতবস্থায় সৌদির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১৬ জন বাংলাদেশি।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের প্রথম সচিব আরিফুজ্জামান দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত ১৮ জনের নামের তালিকা:
১। শহিদুল ইসলাম, পিতা: মো. শরিয়ত উল্লাহ, সেনবাগ, নোয়াখালী।
২। মামুন মিয়া, পিতা: আব্দুল আওয়াল, মুরাদনগর, কুমিল্লা।
৩। মোহাম্মদ হেলাল, নোয়াখালী।
৪। সবুজ হোসাইন, লক্ষ্মীপুর।
৫। রাসেল মোল্লা, মুরাদনগর কুমিল্লা।
৬। মো. আসিফ, মহেশখালী কক্সবাজার।
৭। মো. ইমাম হোসাইন রনি, পিতা: আব্দুল লতিফ, টঙ্গী, গাজীপুর।
৮। রুক মিয়া পিতা: কালু মিয়া, চাঁদপুর।
৯। সিফাত উল্লাহ, মহেশখালী, কক্সবাজার।
১০। গিয়াস হামিদ, দেবীদ্দার, কুমিল্লা।
১১। মোহাম্মদ নাজমুল, পিতা: কাওসার মিয়া, কোতোয়ালি যশোর।
১২। রানা মিয়া
১৩। মোহাম্মদ হোসেন, কক্সবাজার।
১৪। খাইরুল ইসলাম।
১৫। রুহুল আমিন।
১৬। তুষার মজুমদার।
১৭। মিরাজ হোসাইন।
১৮। সাকিব, পিতা: আব্দুল আউয়াল।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মক্কাগামী বাসটিতে ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৪ জন বাংলাদেশি। দুর্ঘটনায় মোট ২২ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৮ জনই বাংলাদেশি নাগরিক।
এদিকে দুর্ঘটনাকবলিত বাসটিতে বাংলাদেশি যাত্রী ছাড়াও অন্যান্য দেশের ১২ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে ৫ জনকে মৃত এবং ৭ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানেই তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।
রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রথম সচিব (প্রেস) মোহাম্মদ ফখরুল ইসলাম সৌদির বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৬ জনের পরিচয় নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের মধ্যে আবহা প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের সালাহউদ্দিন, ভোলার বোরহানউদ্দিনের আল আমিন, লক্ষ্মীপুরের রায়পুরার মিনহাজ, চাঁদপুরের কচুয়ার জুয়েল, মাগুরার শালিকার আফ্রিদি মোল্লা, লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জের মো. রিয়াজ। এই হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন রানা ও মো. সেলিম।
সৌদি-জার্মান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন কুমিল্লার লাকসামের দেলোয়ার হোসাইন। এই হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন হোসাইন আলী ও মোহাম্মদ কুদ্দুস।