![ভয়াল শিলাবৃষ্টিতে লণ্ডভণ্ড কর্মধা’র ঘরবাড়ি](https://www.banglakagojnews.com/wp-content/uploads/2023/04/FB_IMG_1680518015199.jpg)
শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্থ কুলাউড়ার দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষের পাশে দাড়াতে আহ্বান জানিয়েছেন সিলেট নুরজাহান মেমোরিয়াল কলেজের সহকারী অধ্যাপক এম.এ আজিজ । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া তাঁর বক্তব্য বাংলা কাগজ পাঠকের জন্য হুবহু তোলে ধরা হলো –
“গতকাল বিকেলে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী প্রচণ্ড শিলাবৃষ্টিতে কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অসংখ্য বাড়িঘরের টিনের ছাউনি ফুটো ফুটো হয়ে গেছে ! বয়োবৃদ্ধরা জানিয়েছেন তাঁদের জীবদ্দশায় শিলাবৃষ্টির এমন তাণ্ডব অতীতে আর কখনো দেখেননি। স্বচ্ছল পরিবারের টিনের চাহিদা মেটাতে পারছে না স্থানীয় দোকানগুলো আর অস্বচ্ছল গরীব মিসকিনদের চোখে শুধুই জল আর ঘরে ঘরে রোনাজারি ! উপজেলার পৃথিমপাশা, রাউৎগাঁও ও কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের চিত্রও প্রায় অনুরূপ।
পাহাড়ি ঢলের পানিতে মাঝেমধ্যে কর্মধার রাস্তাঘাট ও ক্ষেতখামারের ক্ষয়ক্ষতি হলেও আচমকা এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে এখন দিশেহারা মানুষ। কর্মধায় বড়সড় বন্যা হয়না বিধায় বন্যাকবলিত অন্যান্য এলাকার তুলনায় সাধারণত বন্যাজনিত সরকারি সহায়তা কর্মধার মানুষ খুব কমই বরাদ্দ পান। তাই সরকারি সহায়তার ক্ষেত্রে এবার অগ্রাধিকার পাওয়া উচিত কুলাউড়া উপজেলার সর্ববৃহৎ ইউনিয়ন কর্মধার। উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মধার বাস্তব পরিস্থিতি সরেজমিন পরিদর্শন সাপেক্ষে জরুরি ভিত্তিতে ব্যাপক সরকারি সহায়তা এবং পর্যাপ্ত ঢেউটিন বরাদ্দ দেওয়ার লক্ষে তড়িৎ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছে কর্মধা ইউনিয়নের আপামর জনসাধারণ।
চলছে রামাদ্বান , ঘনিয়ে আসছে ঈদ, মাঝখানে এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি অনেক মুঠেমজুর ! এমতাবস্থায়, গরীর লোকজনের বর্তমান নাজুক পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে সকল স্তরের জনপ্রতিনিধি ও সরকারের সদয় দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য সাংবাদিক বন্ধুগণ, এলাকার সকল সামাজিক সংগঠন, বিত্তবান, চিত্তবান ও সচেতন মহলের সদিচ্ছা ও সহযোগিতা এখন সময়ের দাবি।”