কুলাউড়ায় বৃষ্টির জন্য বিশেষ নামাজ আদায়
হায়দরগঞ্জ টাইটেল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল শায়খ মাওলানা জাফর আহমদ এ বিশেষ নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন
স্টাফ রিপোর্টারঃ
বৈশাখের শেষদিকে এখনও রয়েছে অনাবৃষ্টি ও দাবদাহ। সর্বত্র টানা খরা। বৃষ্টির জন্য হাহাকার পড়েছে চারদিকে। ফসলি জমি শুকিয়ে গেছে। ফলে আউশ আবাদ ব্যাহত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এ অবস্থায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার কর্মধা ইউনিয়নের টাট্রিউলি গ্রামে বৃষ্টি চেয়ে ইস্তিসকার নামাজ ও বিশেষ দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে।
শনিবার সকাল ১০ টার দিকে হায়দরগঞ্জ মসজিদ সংলগ্ন মাঠে এই নামাজ আদায় করেন আলেম উলামা ও ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।
হায়দরগঞ্জ টাইটেল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল শায়খ মাওলানা জাফর আহমদ এ বিশেষ নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন। বৃষ্টি চেয়ে সালাতুল ইস্তিসকার এ নামাজে কয়েক শতাধিক শতাধিক ধর্মপ্রাণ মানুষ অংশ নেন।
নামাজে অংশ নেওয়া মুসল্লিরা বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট ও কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফলস উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন মানুষ।
নামাজ শেষে উপজেলার টাট্রিউলি গ্রামের কৃষক, মছদ্দর আলী ও জয়নাল মিয়া বলেন, ‘টানা খরায় আমাদের ফসলাদি নষ্ট হচ্ছে। তীব্র গরমে জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। মহান আল্লাহর নিকট আমরা বৃষ্টির জন্য দোয়া করেছি।
একই গ্রামের রমজান আলী বলেন, ‘গরমের কারণে আমরা কাজে যেতে পারছি না। আমি দিনমজুর মানুষ । অতিরিক্ত গরমে বাইরে কাজ করা অনেক কষ্টসাধ্য।’
নামাজ ও দোয়া মোনাজাত পরিচালনাকারী মাওলানা জাফর আহমদ বলেন, ‘এখন বর্ষা মৌসুম চলছে। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় হাহাকার চলছে। জমিতে হাল চাষ করা যাচ্ছে না। মহান আল্লাহ নিকট আমরা বৃষ্টির জন্য প্রার্থনা করেছি। মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনসহ আনুগত্য প্রকাশে এই নামাজ আদায় ও দোয়া মোনাজাত করা হয়। আল্লাহ যেন রহমত নাজিল করেন, এটিই আমাদের কামনা।’