লাখাইর খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা ও এক কর্মচারীর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে
ধান গুদামজাত করার প্রক্রিয়া প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের দখলে
সুমন আহমেদ বিজয়ঃ
লাখাই উপজেলার খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও এক এমএলএসের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
গত সোমবার সরেজমিনে খাদ্য গুদামে গিয়ে দেখা যায় ধান বুঝাই নৌকা থেকে খাদ্য গুদামের এমএলএস কবিরের নের্তৃত্বে শ্রমিকরা ধানের বস্তা গোডাউনে নিয়ে যাচ্ছে। তখন শ্রমিকদের কে জিজ্ঞেস করলে ধান কার তখন শ্রমিকরা বলে সামছু নেতার ধান।
খাদ্য গুদামের এমএলএস কবির জানান এগুলো আমার ধান না,এগুলো ব্যবসায়ী সামছু নেতার ধান।কতমন ধান গুদামে ঢোকানো হচ্ছে বলে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান ২ শত ৫০ মন ধান।
লটারীতে বিজয়ী কৃষকরা সরাসরি খাদ্য গুদামে ধান দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তা অমান্য করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জিম্মি করে প্রতি কার্ড ২ থেকে ৩ হাজার টাকা করে কৃষকদের নিকট থেকে ক্রয় করে নিয়ে খাদ্য গুদামে ধান দিচ্ছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।
লটারীতে বিজয়ী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কৃষক জানান খাদ্য গুদামে ধান দিতে অনেক হয়রানি তাই আমার কার্ডটি ২ হাজার টাকায় একজনের কাছে বিক্রি করে ফেলছি।
লাখাই খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামনা দাশ কে সামছু মিয়ার নামে কোন কার্ড কি ইস্যু আছে কি না এমন প্রশ্ন করলে তিনি জানান সামছু মিয়ার নামে কোন কার্ড ইস্যু নাই। উনার শশুর বাড়ীর মানুষ বলছে উনাকে খাদ্য গুদামে ধান দেওয়ার জন্য তাই তিনি ১৭৩ বস্তা ধান দিছে।
কৃষকরা ত সরাসরি উপস্থিত থাকার কথা কৃষকরা কেন উপস্থিত নাই এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান সকালে তার এসে ছিলেন এবং প্রকৃত কৃষকরাই গুদামে ধান দিচ্ছে।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা চাই থোয়াই প্রু মার্মা জানান আপনার মাধ্যমে অভিযোগ টি জানতে পেরেছি অভিযোগ টি তদন্ত সাপেক্ষে দোষী সাব্যস্ত হলে লাখাই খাদ্য গুদামে কর্মকর্তা কামনা দাশ ও এমএলএস কবিরের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান ফোনে জানানোর প্রেক্ষিতে অভিযোগের সত্যতার বিষয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং ভুক্তভোগী কৃষকের লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।