বাংলা কাগজ ডেস্ক : না ফেরার দেশে চলে গেছেন প্রবাসে মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক মিসেস বদরুন নেছা পাশা এমবিই। দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে ৮ জুলাই শনিবার যুক্তরাজ্য সময় সকাল ৬টা ৪৫ মিনিটে তিনি বার্মিংহামের কুইন এলিজাবেথ হাসপাতালে মৃত্যুবরন করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮৪ বছর ; তিনি এক পুত্র, এক কন্যা ও নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বাঙালীদের পক্ষে জনমত গঠনে তিনি ছুটে গেছেন বিভিন্ন স্থানে মিছিলে সমাবেশে। একজন নারী হয়েও দেশ মাতৃকার স্বাধীকার সংগ্রামে মিসেস বদরুন নেসা পাশা এমিবিই‘র ঐতিহাসিক স্মলহীথ পার্কে ৭১ এর ২৮ শে মার্চ এক হৃদয়বিদারক বক্তব্য রেখে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য উত্তোলিত ফান্ডে নিজের বিয়ের গহনা প্রদান করেন। তৎকালীন সময়ে তাঁর স্বামী মরহুম জগলুল পাশা বার্মিংহাম বাংলাদেশ লিভারেশন মুভমেন্ট এর প্রধান থাকায় মিসেস বদরুন নেসা পাশাও স্বামীর সাথে বিভিন্ন সভা সমাবেশে যোগ দেওয়া এমনকি ব্যানার ফেষ্টুন হাতে বিক্ষোভে যোগ দিতেও পিছপা হোননি। ১৯৬৩ সালে যুক্তরাজ্যে আসা মিসেস বদরুন্নেসা পাশা এমবিই সোয়ানসী ইউনিভাসির্টিতে লেখাপড়া করে ১৯৬৯ সালে বার্মিংহামে বসবাস শুরু করেন। ১৯৭০ সালে বার্মিংহাম সিটি কাউন্সিলের উচ্চপদে আসীন থাকা এই মহিয়সী নারী প্রবাসী বাঙালী বিশেষ করে নতুন আসা মহিলাদের নানাভাবে সহযোগিতা করতেন। তাঁর পৈত্রিক নিবাস বৃহত্তর ময়মনসিংহের জামালাপুর জেরার সরিষাবাড়ী উপজেলায়। অনেক প্রবাসী সংগঠকদের বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক মুক্তিযুদ্ধা স্বীকৃতি প্রদান করা হলেও মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে অনবদ্য অবদান থাকা সত্বেও বদরুন্নেসা পাশা এমবিইকে সেই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়নি। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে বাংলা কাগজ পরিবার। বাংলা কাগজের চেয়ারম্যান আজাদ আবুল কালাম, সেক্রেটারী খছরু খান, ফাইন্যান্স ডাইরেক্টর আব্দুল কাদির আবুল ও উপদেষ্টামন্ডলীর সভাপতি মাফিজ খান এক শোক বার্তায় মরহুমার রুহের মাগেফরাতও কামনা করেন।