শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিভাবকদের নিয়ে সভা চলকালীন সময়ে খসে পড়লো ছাদ

প্রকাশিত: ৮:৫৭ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২৩ | আপডেট: ৮:৫৭:অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২৩

মোঃ ইব্রাহীম আলী, কুলাউড়া : মৌলভীবাজারের জুড়ীতে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভিভাবকদের নিয়ে সভা চলছিল। এ সময় হঠাৎ করে ছাদের কিছু পলেস্তারা খসে এক অভিভাবকের মাথার ওপর পড়ে যায়। এতে তিনি সামান্য আহত হন। আকষ্মিক এ ঘটনায় শিক্ষক ও অভিভাবকেরা আতংকিত হয়ে পড়েন। ঘটনাটি আজ মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) উপজেলার পূর্ব জুড়ী ইউনিয়নে অবস্থিত হাজী খুরশীদ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটে।

কয়েক জন অভিভাবক বলেন, শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি, ঝরে পড়া রোধসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কার্যালয়ে সাধারণ সভা শুরু হয়। এতে ৩০-৪০ জন পুরুষ ও নারী অভিভাবক অংশ নেন। সভা চলাকালে পাকা বিদ্যালয় ভবনের ছাদের কিছু স্থানের পলেস্তারা খসে পড়ে। এর মধ্যে হুমায়ূন রশীদ নামের এক অভিভাবকের মাথায় কিছু পলেস্তারা পড়ে যায়। পরে শিক্ষকেরা দ্রুত ছুটে গিয়ে পানি এনে তাঁর মাথায় ঢেলে দেন। হুৃমায়ূন মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতিও। আকষ্মিক এ ঘটনায় শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

 

 

অভিভাবক হুমায়ূন রশীদ মুঠোফোনে বলেন, ‘সভা চলছিল। হঠাৎ মাথায় কিছু পড়ল বুঝলাম। পরে দেখলাম, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ছে। মাথায় সামান্য ব্যাথা লোগেছে। আর কারও কোনো সমস্যা হয়নি। তবে, আরও ক্ষতি হতে পারত।’

বিদ্যালয়োর প্রধান শিক্ষক শিপ্রা রানী দাস বলেন, তাঁদের প্রতিষ্ঠানে পাশাপাশি দুটি পাকার একাডেমিক ভবন। এর মধ্যে একটি নতুন ও অপরটি ১৯৯৪-‘৯৫ সালে নির্মিত হয়। পুরোনো চার কক্ষবিশিষ্ট ভবনটি কয়েক বছর আগে থেকেই জরাজীর্ণ। নানা স্থানে ফাটল ধরেছে। ওই ভবনের একটি কক্ষে তাঁর কার্যালয়। এ ছাড়া একটি শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলে। ঝুঁকি নিয়েই কার্যক্রম চালাতে হয়। বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১০১ জন। শিক্ষক রয়েছেন পাঁচ জন।

 

 

প্রধান শিক্ষক বলেন, পুরোনো ভবনটির জরাজীর্ণ অবস্থার কথা একাধিকবার লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

উপজেলার ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ ভুঁঞা বলেন, কয়েক দিনের মধ্যে জরাজীর্ণ বিদ্যালয়ের তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হবে। ওই তালিকায় হাজী খুরশীদ আলী বিদ্যালয়ও থাকবে। অধিদপ্তর এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে।